বেলা ফুরাবার আগে - চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয় (পর্ব - ৮)
বেলা ফুরাবার আগে আরিফ আজাদ, বেলা ফুরাবার আগে online reading, আরিফ আজাদের বই, চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়, চোখের রোগ, জীবনের ইঁদুর দৌড় কাহিনি, বেলা ফ
ঘটনাটি শাইখ মুহাম্মাদ আল আরিফীর কাছ থেকে শােনা। শাইখের কাছে একবার এক ছেলে এসে বলল, “শাইখ! ইন্টারনেটের ব্যাপারগুলাে খুব ভালাে বােঝে এ রকম আমার একটা বন্ধু ছিল। সে আবার পর্নোগ্রাফিতেও ছিল ভীষণরকম আসক্ত। একবার সে একটা পর্ন সাইটে ঢুকে সেখানে সাবস্ক্রাইব করে ফেলে। সে যে সাইটে সাবস্ক্রাইব করেছিল, ওই সাইটে ফ্রিতে পর্নোগ্রাফি দেখা যেত না, বরং টাকার বিনিময়ে পর্নোগ্রাফির ফাইল ইমেইল করত ওরা। সে যখনই পর্নোগ্রাফির নতুন কোনাে ফাইল রিসিভ করত, সেটা মােবাইলে ডাউনলােড করে নিয়ে পরে আমাদের দেখাত। আমরাও উপভােগ করতাম ভিডিওগুলাে। অবাক হতাম, এত নিত্য-নতুন ভিডিও সে কীভাবে সংগ্রহ করে সেটা ভেবে।
যখন তার কাছে জানতে চাইতাম সে এগুলাে কীভাবে, কোত্থেকে সংগ্রহ করে, তখন সে আমাদের আগ্রহকে একপ্রকার হেসেই উড়িয়ে দিত আর বলত, “আরে ধুর! এগুলাে টাকার বিনিময়ে সংগ্রহ করি। আমরা বললাম, সমস্যা নেই, আমরাও টাকা দিয়ে সংগ্রহ করব। তুই আমাদের বল এগুলাে কোথায় পাস? আমাদের কথা শুনে সে বলল, তােরা শুধু শুধু টাকা নষ্ট করবি কেন? তারচেয়ে এক কাজ করা যাক। তােরা। তােদের ইমেল এড্রেসগুলাে আমাকে দে। আমি নতুন ভিডিও ফাইল পাওয়ামাত্রই তােদের সবাইকে একসাথে পাঠিয়ে দেবাে।
তার প্রস্তাবটা আমাদের খুব মনে ধরল। ভাবলাম, “ভালােই তাে। আমাদের। টাকাগুলাে বাঁচল, আবার ভিডিওগুলােও পাওয়া যাবে। আমরা আমাদের এবং আমাদের বন্ধুদের ইমেইল এড্রেস সংগ্রহ করে ওর কাছে দিলাম। পরের সপ্তাহ। হতে তার ইমেইল আইডি থেকে আমরা নতুন নতুন পর্নোগ্রাফির ফাইল পেতে শর করি। এভাবে কেটে গেল ছয় মাস।
একদিন হঠাৎ রােড এক্সিডেন্টে আমাদের সেই বন্ধুটা মারা যায়। ওর মৃত্যুতে আমরা সবাই প্রচণ্ডরকম ধাক্কা খেলাম। শাইখ, ওর জানাযার সালাত পড়ে যখন ওকে কবরে শুইয়ে দিয়ে বাসায় এলাম, তখন আমার ফোনে নতুন একটা ইমেইলের নােটিফিকেশান আসে। নােটিফিকেশান চেক করতে গিয়ে আমি একেবারে হতভম্ব হয়ে পড়ি। আমি অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, যে বন্ধুটাকে আমি একটু আগে কবরে শুইয়ে রেখে এসেছি, তারই ইমেইল আইডি থেকে আমার ইমেইলে নতুন পর্নোগ্রাফির ফাইল এসে জমা হয়েছে। ভাবলাম হয়তাে পুরাতন কোনাে ইমেইল হবে। এই ভেবে সেবার এড়িয়ে গেলাম ব্যাপারটা। কিন্তু পরের সপ্তাহে দেখলাম ওর ইমেইল থেকে আবারও নােটিফিকেশান। এবারও পর্নোগ্রাফির ফাইল এসে জমা হয়েছে। আমি ইমেইলটা ভালােমতাে চেক করলাম। দেখলাম এটা পুরােনাে ইমেইল নয়। একেবারে নতুন। সাথে সাথেই ব্যাপারটা আমি বুঝে গেলাম। ও নিশ্চয় ইমেইলের ‘অটো ফরওয়ার্ড’ অপশান অন করে রেখেছিল যার দরুন ও নতুন নতুন যেসব ভিডিও ফাইল রিসিভ করছে, সেগুলাে একইসাথে আমাদের আইডিতেও চলে আসছে।
আমি উক্ত সাইটের অথােরিটির সাথে যােগাযােগ করলাম। ইমেইল করে তাদেরকে জানালাম যে, আমার ওই বন্ধুটি এখন মৃত। তাই তারা যেন তার আইডিতে এসব ভিডিও পাঠানাে বন্ধ করে দেয়। ওই সাইটের লােকজন আমার কাছে তার ইমেইলের পাসওয়ার্ড চাইল। পাসওয়ার্ড জানা না থাকায় আমি দিতে পারলাম । তারা বলল, ‘দুঃখিত! তাহলে আমাদের আর কিছুই করার নেই। এই ব্যক্তির এখনাে সাড়ে চার বছরের সাবস্ক্রিপশন বাকি। পরবর্তী সাড়ে চার বছর তার ইমেইলে আমাদের ভিডিও ফাইল অটো চলে যাবে। সাবস্ক্রিপশন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই আপাতত।
শাইখ! আজ প্রায় দুবছর হয়ে যাচ্ছে আমার বন্ধু কবরে শুয়ে আছে। অথচ ওর। ইমেইল আইডি থেকে প্রতি সপ্তাহে সে আর তার সাথে সাথে আমরাও অশ্লীল। ভিডিওগুলাের ফাইল রিসিভ করে যাচ্ছি।
ঘটনাটা এখানেই সমাপ্ত। এটা এমন এক জীবনের উপাখ্যান যেখানে পাপের বােঝা। মৃত্যুর পরও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে তাকে। কবরে থেকেও পেতে হচ্ছে অশ্লীল ভিডিও।। এটা এমন এক জাহিলিয়াতের মৃত্যু, যেখানে পাপের ভার কবরের চাপের পরও মাথা থেকে নামতে চাইছে না। যে ছেলেটা এ রকম সাইটে চারটে বছরের জন্য সাবস্ক্রিপশন করে রেখেছে এবং তা বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার সু-বন্দোবস্তও করে গেছে, তার পাপটা কি সংক্রামক নয়? সে নিজে যে পাপে আক্রান্ত, জর্জরিত, একই পাপ সে আরও অনেকের মাঝেও ছড়িয়ে দিয়ে গেছে।
যারা পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত, তারা বুঝতে পারে না কত বিশাল বড় পাপের পাহাড় তারা দুনিয়ায় তৈরি করছে। এ রকম ভিডিওগুলােতে তাদের একটা ‘ভিউ’ অনেক কিছু নির্দিষ্ট করে দেয়। খুলে দেয় অনেক কিছুর পথ। এই ভিডিওগুলাের নিহিতার্থ কেবলই বিনােদন কিংবা মনােরঞ্জন নয়। মােটাদাগে ব্যবসা। তাই এসব ভিডিওতে আপনার একটা ভিউ এ রকম আরও দশটা ভিডিও বানানাের পথকে সুগম করে। একটা ভিউ এ রকম আরও অনেকগুলাে ভিডিও বানানাের পেছনে ভূমিকা রাখে। ফলে যতদিন পর্যন্ত এ রকম ভিডিও বানানাে হবে এবং ইন্টারনেটে ছড়ানাে হবে, তার পেছনে আপনার একটা ভিউয়ের ভূমিকাও চলমান থাকবে।
প্রতিটা খারাপ কাজ আরও অনেকগুলাে খারাপ কাজের কারণ। প্রতিটা মিথ্যা কথা আরও অনেকগুলাে মিথ্যা কথার জনক। প্রতিটা অসততা আরও অনেকগুলাে অসততার সূত্রপাত। পাপ একপ্রকার সংক্রামক। সেটা ছড়িয়ে পড়ে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে।
ছেলেটা জীবনলীলা সাঙ্গ করে চলে গেছে। অথচ জারি রেখে গেছে একটা পাপের মেশিন। সেই মেশিনে নিত্য উৎপন্ন হচ্ছে হরেক পদের পাপ। আর মৃত্যুর পরেও তার আমলনামায় যােগ হচ্ছে সেই পাপের দায়। ভয়াবহ! মৃত্যুর পরও রেহাই নেই। চলে গেছে, কিন্তু প্রথান হয়নি।
অপরদিকে, আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারও চলে গেছেন। রাহিমাহুল্লাহ। আল্লাহ যেন। তাকে সবটুকু মায়া-মমতা দিয়ে জড়িয়ে রাখেন। উম্মাহর জন্য তিনি রেখে গেছেন। কিছু অমূল্য সম্পদ। তার বইগুলাে আজও বুভুক্ষু হৃদয়ে প্রশান্তির প্রলেপ লাগায়। তার কাজগুলাে থেকে কিয়ামত পর্যন্ত এই উম্মাহ উপকৃত হবে। কত পথহারা। | পথিক খুজে পাবে পথ। কত দিশেহারা নাবিক খুজে পাবে কূল। এই কাজগুলাে। থেকে যতদিন উম্মাহ উপকৃত হবে, ততদিন কি আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের।
আমলনামাতেও সেই সাওয়াব পৌঁছে যাবে না? সাদাকায়ে জারিয়া হিশেবে স্যারের। আমলনামাও নিত্য ভারী হবে, ইন শা আল্লাহ। আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারও চলে গেছেন। তবে ওই যে, সব চলে যাওয়াই প্রস্থান নয়...
মানুষেরা ব্যাংকে টাকা জমিয়ে, ইস্যুরেন্স করে নিজেদের ভবিষ্যৎ জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ভবিষ্যতের অনিশ্চিত সময়ের জন্য অগ্রিম টাকা জমিয়ে তারা জীবন থেকে অনিশ্চয়তার ঝুঁকি কমাতে চায়। ক্ষুদ্র এই জীবনের একটু নিরাপত্তা, একটু ভালাে থাকা, একটু বাড়তি আয়েশের জন্য আমরা কত বাহারি আয়ােজনই-না করি প্রতিনিয়ত। অথচ আমাদের সামনে যে অনন্ত জীবনের হাতছানি, যে অপার সময়ের স্রোতে আমাদের ভাসতে হবে অনন্তকাল, সেই জীবনের নিরাপত্তা, নিশ্চয়তা, ভালাে থাকা আর আরাম-আয়েশ নিয়ে আমাদের কোনাে মাথাব্যথা নেই। আমাদের চিন্তাচেতনা, ধ্যানজ্ঞান সবকিছু আবর্তিত হচ্ছে দুনিয়াকে কেন্দ্র করে। আখিরাতের রসদ গােছানাের জন্য আমাদের যেন কোনাে তাড়া নেই। কিন্তু চক্ষু মুদলেই কি প্রলয় থেমে যায়? যায় না। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে আমাদের যতই অনীহা- অনিচ্ছাই থাকুক, মৃত্যুর চেয়ে সত্য আমাদের জীবনে আর কিছু নেই। দুনিয়ার কঠিন বাস্তবতা হলাে এই—একদিন আমাদের মৃত্যু হবে। নশ্বর এই পৃথিবীর পাট চুকিয়ে আমাদের পাড়ি জমাতে হবে এক অনন্ত জীবনের পথে।
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে দুনিয়ার সাথে আমাদের সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। আমরা প্রবেশ করি অন্য এক জগতে। তবে, মৃত্যু দুনিয়া থেকে আমাদের মুছে দিতে পারলেও, মুছে দিতে পারে না আমাদের কর্ম। সময়ের পাটাতনে সেই কর্মগুলাে অনস্তিত্বের মাঝেও আমাদের অস্তিত্বশীল করে তােলে। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মৃত্যুর সাথে সাথে মানুষের সকল আমল বন্ধ হয়ে যায়, কেবল তিনটি আমল ছাড়া। দান-সাদাকা, উপকারী জ্ঞান এবং নেককার সন্তানসন্ততি।[১]
অর্থাৎ দুনিয়ায় যখন আমাদের কোনাে অস্তিত্বই থাকবে না, তখনও এই তিনটি কর্ম আমাদের জন্য সাদাকা হিশেবে জারি থাকবে। কবরে আমাদের জন্য নতুন নতুন। সাওয়াব পাঠাবে। সেই সাওয়াব যুক্ত হবে আমাদের আমলনামায়। আমলের ঘাটতির।
কারণে যখন আমরা আল্লাহর কোনাে পরীক্ষায় আটকে পড়ব, সাদাকায়ে জারিয়ার। এই সাওয়াবগুলাে তখন হতে পারে আমাদের নাজাতের ওয়াসিলা। আখিরাতের। এই ব্যাংক সেদিন আমাদের জন্য হয়ে উঠতে পারে বিপদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। আখিরাতের জন্য এমন একটি চলমান ব্যাংক তৈরি করতে হলে আমাদের কী করতে হবে? খুব সহজ! কেবল তিনটি কাজে জোর দিতে হবে।
সাদাকায়ে জারিয়া
সাদাকায়ে জারিয়া একটি চলমান সাওয়াব ব্যাংকের নাম। এই ব্যাংক নিত্য-নতুন সাওয়াব উৎপন্ন করে চলে। ধরুন, আপনার অনেক টাকাপয়সা। সেই অনেক টাকাপয়সা থেকে আপনি কোথাও একটি মসজিদ নির্মাণ করে দিলেন। এখন সেই মসজিদে যতদিন আযান হবে, যতদিন সেখানে মানুষ সালাত আদায় করবে, যতদিন সেখানে মানুষ কুরআন শিখবে, ঠিক ততদিন আপনার আমলনামায় তার সাওয়াব যুক্ত হবে। আপনি বেঁচে থাকাবস্থায় এই সাওয়াব তাে পাবেনই, মারা যাওয়ার পরও এই সাওয়াব আপনার আমলনামায় অনবরত যুক্ত হতে থাকবে। চিন্তা করুন, কবরের জীবনে আপনি সালাত পড়তে পারছেন না, সিয়াম রাখতে পারছেন না, হজ-যাকাত-কুরবানি কোনাে কিছুই করার আর সুযােগ নেই আপনার। কিন্তু দুনিয়ায় আপনি এমন একটি কাজ করে এসেছেন যার বদৌলতে সালাত না পড়েও, সিয়াম না রেখেও, হজ-যাকাত-কুরবানি না দিয়েও কবরে বসে সাওয়াব পেয়ে যাচ্ছেন! মসজিদ নির্মাণ ছাড়াও কূপ খনন, টিউবওয়েল বসানাে, এমনকি কোথাও যদি কোনাে ফলের গাছ লাগান, সেই গাছ থেকে যদি পথচারী এবং পশুপাখি ফলমূল খায়, তাহলে সেটাও আপনার জন্য সাদাকায়ে জারিয়া হিশেবে গণ্য হবে।
নেককার সন্তানাদি
দুনিয়ায় আপনার সন্তানদের যদি ইসলামের সুমহান শিক্ষায় দীক্ষিত করেন, তাদের মধ্যে ঈমান, তাকওয়া আর ইখলাসের সন্নিবেশ ঘটাতে পারেন, তাদের যদি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুপম আদর্শে গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে আপনার মৃত্যুর পর আপনার সন্তানেরা আপনার জন্য চলমান ব্যাংক হিশেবে ভূমিকা রাখবে। তারা প্রতিনিয়ত আপনার জন্য দুআ করবে। তাদের কৃত। সকল নেক কর্মের ফল আপনার আমলনামাতেও সমানভাবে যুক্ত হতে থাকবে।
উপকারী জ্ঞান
দুনিয়াতে যে উপকারী ভন আপনি অর্জন করেছেন, সেগুলাে যখন মানুষের মাঝে। ছড়িয়ে দেবেন, সেই জ্ঞান আখিরাতে আপনার জন্য সাওয়াবের ‘চলন্ত ব্যাংক -এর। ভূমিকা পালন করবে। আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার রাহিমাহুল্লাহর লিখে যাওয়া বইগুলাে পড়ে যখন কোনাে ব্যক্তি আমল করে, নিজের আকিদা বিশুদ্ধ করে, তখন এই কাজের জন্য ওই ব্যক্তি যে পরিমাণ সাওয়াব লাভ করে, ঠিক একই পরিমাণ সাওয়াব আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের আমলনামাতেও পৌঁছে যায়। আমরাও যদি এ রকম বই কিংবা উপকারী জ্ঞান ছড়ানাের উপকরণ দুনিয়ায় রেখে যেতে পারি, তাহলে আশা করা যায়, এগুলাের বদৌলতে মৃত্যুর পর আমাদের আমলনামাতেও এ রকম সাওয়াব যুক্ত হতে থাকবে, ইন শা আল্লাহ।
মৃত্যুর মাধ্যমেই যেন আমাদের স্মৃতি দুনিয়া থেকে মুছে না যায়। দুনিয়াতে না থাকা অবস্থাতেও যেন আমাদের কাজগুলাে আমাদের হয়ে কথা বলে। আমাদের সাদাকায়ে জারিয়া, আমাদের সন্তানাদি আর আমাদের জ্ঞান যেন নিরন্তর সাওয়াবের ‘চলমান ব্যাংক’ হিশেবে কাজ করে। আমরা চলে যাব ঠিক, কিন্তু আমাদের যেন প্রস্থান না হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন