চাটুকারের পৃষ্টপোষকতা করলে আপনার চারপাশে চাটুকারই পাবেন।
কুকুরের মত অন্ধ আনুগত্য কোনো ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ দেবে না।
কুকুরের মত অনুগত্য দেবে দুই ধরণের মানুষ
১।
যারা অযোগ্য। অর্থাৎ যোগ্যতা দিয়ে যে উপরে উঠতে পারবে না। সূতরাং উপরে ওঠার জন্য যে পা চাটবে।
২।
ধূর্ত শয়তান। বেইমান আর মুনাফিক। মুনাফিকের ধর্মই হল মুখে এক, অন্তরে আরেক।
অন্তরে ঘৃণা রেখেও মুখে মিষ্টি কথা বলতে পারা, ছদ্মবেশী হয়ে শত্রু দলে থাকা, এসব কিন্তু চারটে খানি কথা না। সবাই পারে না।
খন্দকার মোস্তাক বা মীরজাফরের কথা চিন্তা করুণ। পুরোটা সময় এরা মনে ঘৃণা নিয়ে মুখে চাটুকারি করেছে। এই মুনাফিকি কিন্তু সবাই পারে না।
এরা জানে, চাটুকারি করে উপরে ওঠে যাবে। কাছে যাওয়া যাবে।
এরা সেটাই করে। এরপর কাছে গিয়ে ছুরি মারে।
তাজউদ্দিন কিন্তু মতের বিরোধ হলে দল ছেড়ে দিছে।
কিন্তু মোস্তাক পুরোটা সময় তেলবাজি, চাপাবাজি করে গেছে।
গত সরকারের আমলে দেখুন,
এমন বহু মানুষ ধানমন্ডি ৩২-এ গিয়ে ফুল দিতো,
টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে মোনাজাত ধরতো,
যারা নিজেরা হয়ত
নিজেদের বৃদ্ধ বাবা মায়ের কোনো টেককেয়ারই করে না। নিজেদের বাবা মায়ের জন্ম তারিখ বা মৃত হয়ে থাকলে মৃত্যুবার্ষিকীর দিন ভুলে গেছে,
নিজের বাবা মা বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়েছে
অথচ সারাদিন জাতির পিতার জন্য কান্নাকাটি করতেছে!
মূল উদ্দেশ্য কিন্তু ফুটেজ খাওয়া।
ধস্তাধস্তি করে হলেও ফুল দেওয়ার সময় ক্যামেরার ফ্রেমে ঢোকা!
যাতে বড় নেতার সুনজরে আসা যায়। একটু পদ পদবি বা সুবিধা আদায় করা যায় যদি !
এদেরকে instant দলীয় পতাকা আকতে দেন,
এরা পারতো না।
instant বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্রের প্রথম পাতায় কি লিখা আছে, সেটা বলতে; এরা পারতো না।
কারণ এরা জানতো,
লীগ করার জন্য কোনো পড়াশোনা বা পরীক্ষা নিরীক্ষার দরকার নাই।
লীগে ঢোকার নিন্জা টেকনিক হল, সারাদিন বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু করো,
জিয়া আর বিএনপিরে গালি দাও;
কতবেশি জামায়াত শিবির আর পাকিস্তানিদের ঘৃণা করো, সেটা জাহির করো;
আর নিজে কত বেশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করো, সেটা প্রমানে কিছু রিচ্যুয়াল আছে, সেগুলো বেশিবেশি পালন করো।
যেমন মাজারে ফুল দেওয়া, বিরোধী যারা আছে, তাদের উপর চড়াও হয়ে শো অফ করা।
মোট কথা, ভ্যানগার্ডের ভং ধরা।
শোনেন ভাই।
রাষ্ট্রপতির কথা চিন্তা করেন। আজ রাষ্ট্রপতির কথাবার্তা শুনে লীগের নেতারা বলতেছে, এই লোক এতো ব্যক্তিত্বহীন কেল?
আরেহ ভাই,
ওটাই তার সবচেয়ে বড় যোগ্যতা ছিল তোমাদের চোখে। এজন্যেই তো তারে রাষ্ট্রপতি বানাইছিলা।
তোমাদের দরকার ছিল কলাগাছ। আর আজ কইতেছো, কলাগাছ কেনো কলাগাছের মত।
আজব ব্যাপার।
আপনাদের দলে নীতি আদর্শ বা পলিটিক্যাল আইডিওলজির চর্চা বহু আগেই বন্ধ হয়ে গেছিলো দেইখাই শিবিরের পোলাপান এতো সহজে আপনাদের দলে ঢুকেছে কোকিলের মত। এরপর ডিম পেড়ে চলে গেছে। আপনারা যে কাক, ব্যাপারটা বোঝেন?
আত্ম সমালোচনা মোটেও নিতে পারেন না।
সামান্য কথার এদিকওদিক হলেই ট্যাগ দিতেন বিএনপি জামায়ত।
কতটা দেউলিয়া হলে, শেষ দিকে "সুশীল" ট্যাগ দিতেন তাদের, যাদের জামায়াত শিবির ট্যাগ দিতে পারতেন না!
আজব ব্যাপার... এই সুশীল সমাজ ছিল আপনাগো সবচেয়ে বড় সাপোর্ট বেইজ।
চাটুকারিতা আর অযোগ্যতা কিভাবে একটা দলকে ডোবাতে পারে, তার একটা উদাহরণ হয়ে থাকলো।
তাপসের অডিও কল শুনলাম।
সত্যি বলতে, একটুও অবাক হইনি।
তাপসের বাপের কারণে লীগ একবার ডুবেছিল,
তাপস, ফজলুল হক মনি, পরস গং হল এবারের ভরাডুবির অন্যতম কুশিলব।
তাপসের ছেলেমেয়ে বা ভাস্তে ভাগ্নিরা ডোবাবে ভবিষ্যতে!
কতটা নির্লজ্জ হলে একজন ইমিগ্রেশন অফিসারের সাথে
প্রাইম মিনিস্টারকে ফোনে কথা বলতে বলে ! ভেবে দেখুন।
নেপুটিজম, অযোগ্যতা, চাটুকারিতা,
এসবকিছু চূড়ান্ত আউটকাম হল এই ভরাডুবি।
সমস্যা হল,
এসব দেখে কেউ শেখেনি।
এখন যেসব দল ক্ষমতায়,
তারাও এসব রিপিট করবে। করতেছে।
এরাও তো এদেশেরই মানুষ।
এবং সাইকেল চলতেই থাকবে।
দিনশেষে, এটাও হাজার বছরের জাতিগত চরিত্র।
আমরা আমরাই তো। Ok